আকবর ঝড়ে জয়ে শুরু বাংলাদেশের
ওমানে খেলা হলেও উদ্বোধনী ম্যাচটা হলো বাংলাদেশ ও হংকংয়ের মধ্যে। ওই ম্যাচে জয় দিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। হংকংয়ের বিপক্ষে ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে তারা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আল আমারাত স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে হংকংয়ের ১৫০ রানের জবাবে ১৮.২ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ১৮০’র বেশি স্ট্রাইকরেটে ৪৫ রান করেন আকবর। ২৪ রানে রিপন মণ্ডল নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে ৩১ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। ইহসান খানের ওভারে এ সময় ১১ বলে ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন ওপেনার জিশান আলম। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি সাইফ হাসানও। ৬ বলে ৫ রান করে প্যাভিীলিয়নে ফেরেন তিনি। প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকানো পারভেজ হোসেন ইমনের ইনিংস থামে ২৮ রানে। এরপর জুটি হয় তাওহীদ হৃদয় ও আকবর আলীর মধ্যে।
হৃদয়কে দর্শক বানিয়ে অন্যপ্রান্তে ঝড় তুলেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। তাতে ইয়াসিম মুরতাজার এক ওভারেই আসে ২১ রান। ওই ওভারে ২টি ছয় ও ২টি চার মারেন আকবর। তাদের ৫৪ রানের জুটির পর বিদায় নেন হৃদয়। ২২ বলে ২টি চার ও একটি ছয় হাঁকান তিনি।
দলীয় ১২৯ রানের মাথায় বিদায় নেন আকবর। ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। বাকি কাজটা সারেন শামিম হোসেন ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১৫ বলে শামিম ১৯ ও রাব্বি ৮ রান করেন। হংকংয়ের হয়ে ১২ রানে ৩ উইকেট নেন ইহসান। একটি করে উইকেট পান আতীক ইকবাল ও নাসরুল্লা। এর আগে ৮ উইকেটে ১৫০ রান করে হংকং। দুই স্পেলে দুটি করে মোট ৪টি উইকেট নেন রিপন মণ্ডল। প্রথম স্পেলে ৩ ওভার বল করেছিলেন তিনি। প্রথম বলের দ্বিতীয় ওভারে তুলে নেন হংকংয়ের দুই ওপেনার জিশান আলী ও অ্যানশি রাথের উইকেট। জিশান ৪ ও রাথ ২ রান করেন। অধিনায়ক নিজাকাত খান হাল ধরেছিলেন বাবর হায়াতের সঙ্গে।
তাকে ২৫ রানে ফিরিয়ে ৬৫ রানের জুটি ভাঙেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। অন্যপ্রান্তে কেউ বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে না পারলেও বাবর হায়াত বাংলাদেশকে বেশ ভুগান। আইজাজ খান ২, মার্টিন কোয়েৎজে ৭ ও নাসরুল্লা রানা ০ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় স্পেলে দলীয় ১৮তম ওভারে বল হাতে নেয়া রিপনের শিকার হন শেষের দুজন।
বিপদজনক হয়ে উঠা বাবরকে ফেরান রেজাউর রহমান রাজা। হংকং ব্যাটার ৬১ বলে ২ চার ও ৭ ছয়ে করেন ৮৫ রান। শেষদিকে ইহসান খান করেন ১৩। তাতেহ স্কোর বোর্ডে উঠে ১৫০ রান। ৪ উইকেট নিতে ২৪ রান খরচ হয় রিপনের। একটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার, রাজা, রাকিবুল ও রাব্বি।
0 Comments